EP1: BC Nagar পঞ্চায়েতের ২৫ হাজার টাকার ঘুষ কাহিনী #crime

নিজস্ব প্রতিনিধির রিপোর্ট (CRIME)

MD ABDUL ATIK

ঊনকোটি জেলার কৈলাসহরের বীরচন্দ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সচিব মোহাম্মদ আব্দুল আতিককে মূর্খ শেয়াল পন্ডিত বলে অভিযোগ করেছেন ওই একই পঞ্চায়েতের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা উত্তম সিনহা। ওই মহা পন্ডিত ও জ্ঞানীগুণী পঞ্চায়েত সচিব আব্দুল আতিক ও সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে পঁচিশ হাজার টাকার ঘুষের বিনিময়ে, উত্তম বাবুকে ঘুমে রেখে তারই পারিবারিক রেজিষ্টার থেকে উনার কণিষ্ঠ কন্যার নাম কেটে দিয়েছেন। ঘটনা চাউর হতেই নিজেদের পীঠ বাঁচাতে তথা অবৈধ কার্যকলাপকে ধামাচাপা দিতে পুনরায় কন্যার নাম এনে অন্তর্ভূক্ত করে দিয়েছেন উনার পারিবারিক রেজাষ্টারে। মহা পন্ডিত ও মহা জ্ঞানী পঞ্চায়েত সচিব আব্দুল আতিকের এহেন কৃত অবৈধ কার্যকলাপে গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক ব্যক্তি সহ চন্ডীপুর ব্লকের কয়েকজন জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত উত্তম সিনহা।

উল্লেখ্য যে ২০২০ সনের প্রথমার্ধে উত্তম সিনহার স্ত্রী শিপ্রা সিনহা তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সহ ৪৯৮ আইপিসি ধারায় কৈলাসহর পারিবারিক আদালতে মামলা দায়ের করেন। এক কালীন চার লক্ষ টাকা এলামনি দাবি সহ উত্তম সিনহা তার কাছে চল্লিশ হাজার টাকা পণ দাবি করেছেন বলেও উক্ত মামলায় অভিযোগ করা হয়। ওই মামলায় শিপ্রা সিনহা সাক্ষী হিসেবে আদালতে হাজির করেন একমাত্র উনার মা'কে। । শিপ্রা দেবির মা আবার ওই একই পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্যা বলে খবর মিলেছে।

প্রায় দুই বছর যাবৎ আদালতে মামলা চলে। বিভিন্ন সাক্যবাক্য গ্রহণ শেষে এবং উত্তম সিনহার মতামত নিয়ে আদালত ডিভোর্সের রায় ঘোষণা করেন ৩০ নভেম্বর ২০২২ সালে। আদালত কর্তৃক ওই প্রদত্ত রায়ে শুধুমাত্র ডিভোর্স মঞ্জুরের কথা উল্লেখ করেছে। কোন প্রকার এলামনি প্রদানের ঘোষণা কিংবা পারিবারিক রেজিষ্টার থেকে কোন সদস্যের নাম কেটে নেবার কোনপ্রকার রায় দেয়নি আদালত।

পরবর্তীকালে ২০২৩ সালে ওই শিপ্রা সিনহা পঞ্চায়েত সচিব আব্দুল আতিকের নিকট শরণাপন্ন হন যে উত্তম বাবুর ROR থেকে কণিষ্ঠ কন্যার নাম কেটে এনে যেন তার ROR- এ যুক্ত করা হয়।

ওই বিষয় নিয়ে ৩১/০৫/২০২৩ তারিখ দুপুর ১২টায়, বিসি নগর গ্রাম পঞ্চায়েত হলে এক সাধারণ সভার আয়োজন করে পঞ্চায়েত সচিব আব্দুল আতিক সহ গ্রাম প্রধান বিপুল রুদ্র পাল। অন্যান্য কোন পঞ্চায়েত সদস্য বা সদস্যা সেদিন উপস্থিত ছিলেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি। ওই সাধারণ সভা আয়োজন করলেও পরিবারের কর্তা উত্তম সিনহাকে ঘুনাক্ষরে জানানো হয়নি। সেদিনের ওই সাধারণ সভায় গ্রাম প্রধান বিপুল রুদ্র পালের পৌরাহিত্যে সম্পূর্ণভাবে সন্তর্পনে পঞ্চায়েত সচিব আব্দুল আতিক ও গ্রাম প্রধান  রেজুলেশন পাশ করেন যে শিপ্রা সিনহার দরখাস্ত মোতাবেক কণিষ্ঠ কন্যার নাম উত্তম সিনহার ROR থেকে কেটে এনে শিপ্রা সিনহার ROR-এ যেন যুক্ত করা হয়।

পরবর্তীকালে, সেই রেজুলেশনের কপিটি পাঠানো হয় চন্ডীপুর ব্লকের বর্তমান বিডিও প্রসেনজিৎ মালাকারের নিকট Approve করার জন্য। উল্লেখ্য যে বর্তমান বিডিও প্রসেনজিৎ বাবু চন্ডীপুর ব্লকের নতুন বিডিও হিসেবে যোগদান করেন ২৭ জুন ২০২৩ সনে। তার ঠিক পরদিন অর্থাৎ ২৮ জুন তারিখে বিডিও সই করেন সেই রেজুলন কপিটে। তিনি লিখে দেন Approved বলে, অর্থাৎ রেজুলেশন কপিটি সরকারি আদেশ বনে গেল উনার একটি মাত্র শব্দ- Approved লিখে দেওয়ার ফলে।

আজ এই সংবাদের প্রথম কিস্তি। দ্বিতীয় কিস্তী আগামীকাল। চোখ রাখবেন পরবর্তী সংবাদের জন্য।





Comments