সামন্য অর্থের লেনদেনকে কেন্দ্র করে যুবককে পিটিয়ে রক্তাক্ত, অধরা ৩ নেশা কারবারি সম্রাট


সামন্য অর্থের লেনদেনকে কেন্দ্র করে যুবককে পিটিয়ে রক্তাক্ত, অধরা ৩ নেশা কারবারি সম্রাট
নিজস্ব প্রতিনিধির রিপোর্ট  (CRIME)

কুখ্যাত নেশা ব্যবসায়ী থেকে দুষ্কৃতিকারীতে নাম লেখালো কয়েকজন নেশা কারবারি। সামান্য কিছু টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে এক যুবককে পিটিয়ে রক্তাক্ত করলো তিন কুখ্যাত নেশা কারবারি। অভিযোগ আমতলী থানার অন্তর্গত ফুলতলী মতিনগর এলাকার কুখ্যাত নেশা কারবারী হিসাবে সবার কাছে পরিচিত ঈশান ভূঁইয়া, রাহুল ঘোষ এবং রতন ভূঁইয়া। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন নেশা সামগ্রী পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে পাচার করে আসছে। পুলিশ প্রশাসন তাদের টিকিট নাগাল পর্যন্ত পায়না, যার ফলে তারা ওই এলাকায় নেশা কারবারিদের সম্রাট হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। তারাই সোমবার ফুলতলী বাজার সংলগ্ন রাজেশ্বরী নগর এলাকার এক যুবককে সামান্য কিছু টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে মেরে রক্তাক্ত করে দেয়, এমনকি তাদের বাড়িঘর পর্যন্ত ভাঙচুর করার উদ্যোগ নেয়। জানা গেছে ওই এলাকায় ময়নাল হোসেন নামে এক যুবককে উল্লেখিত তিন নেশা কারবারীরা বেধরকভাবে মারধোর করে এবং তার বাড়িঘর ভাঙচুর করার চেষ্টাও করে। কিন্তু বাড়িঘর ভাঙচুর করার চেষ্টা ব্যর্থ হলেও ময়নাল হোসেনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে তারা। 


জানা গেছে ঈশান ভূঁইয়া, রাহুল ঘোষ এবং রতন ভূঁইয়া ফুলতলী মতিনগর এলাকায় জলের ফ্যাক্টরির নাম করে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার নেশা সামগ্রী পাচার করে যাচ্ছে। সোমবার সেই নেশা কারবারিরাই দুষ্কৃতীর রূপ ধারণ করে ময়নাল হোসেনকে রক্তাক্ত করে। সোমবার ওই ঘটনার পর আহত ময়নাল হোসেনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদিকে আহত ময়নাল হোসেনের পরিবার তিন নেশা কারবারী তথা দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় লিখিত আকারে মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ সোমবার সন্ধ্যায় ফুলতলী বাজার সংলগ্ন রাজেশ্বরী নগর এলাকায় এসে প্রাথমিক তদন্ত করে যায়। জানা গেছে আমতলী থানার পুলিশ কুখ্যাত ওই তিন নেশা কারবারি তথা দুষ্কৃতিকারীদেরকে গ্রেফতার করার জন্য জাল বিস্তার করেছে। আহত ময়নাল হোসেনের পরিবারের বিশ্বাস এবার অন্তত অবশ্যই আমতলী থানার পুলিশ দুষ্কৃতিকারী তথা নেশা কারবারীদের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।






 

Comments