বিজেপির ধোলাই খেয়ে বিজেপি হাসপাতালে
নিজস্ব প্রতিনিধির রিপোর্ট (Crime)
দুষ্কৃতিকারীদের মারে গুরুতর ভাবে আহত শাসক দলের বুথ সভাপতি সহ মন্ডলের যুব মোর্চার সম্পাদক। জানা গেছে গোলাঘাটি বিধানসভার কাঞ্চনমালা বাজারে পাঁচ দিনব্যাপী হরিনাম সং কীর্তন সমাপ্ত হয় সোমবার ভোররাতে। কীর্তন শেষ হওয়ার পর এলাকার লোকজন যখন নগরকীর্তনে বের হয় তখন কাঞ্চন মালা বাজার হয়ে গরু পাচারকারীরা গাড়ি দিয়ে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় গোলাঘাটির যুব মোর্চার সম্পাদক প্রসেনজিৎ দাস গরু বুঝাই গাড়িটিকে দাঁড় করিয়ে গরু পাচারের কাগজপত্র দেখতে চায়। গরু পাচারকারীদের কাগজে লেখা আছে পাঁচটি গরু এবং গাড়িতে দেখতে পায় নয়টি গরু। তাতেই সন্দেহ হয় যুব মোর্চার সম্পাদক প্রসেনজিৎ সহ অন্যান্যদের। তখন গরু পাচারকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় কাঞ্চনমালা এলাকার পাল কলোনির ১০ নং বুথ সভাপতি অভিজিৎ বিশ্বাস সহ আরো দুই দুষ্কৃতিকারী রঞ্জন কর্মকার ওরফে কেডু এবং প্রবীর বিশ্বাস যুব মোর্চার সম্পাদক প্রসেনজিৎ দাসকে বেধড়কভাবে মারধোর করতে থাকে।
দুষ্কৃতিকারীদের মারে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে বুথ সভাপতি সহ প্রসেনজিৎ দাস এবং একসময় অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে প্রত্যক্ষদর্শীরা এগিয়ে এসে প্রতিবাদ জানাতেই দুষ্কৃতিকারীরা ঘটনাস্থল থেকে গা ঢাকা দেয়। পরে প্রত্যক্ষদর্শীরা গুরুতর আহত প্রসেনজিৎ দাসকে প্রথমে কাঞ্চনমালা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে হাঁপানিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে দেয়। এদিকে আহত প্রসেনজিৎ দাসের পরিবারের পক্ষ থেকে বিস্তারিতভাবে লিখিত আকারে জানিয়ে ১০ নং বুথ সভাপতি অভিজিৎ বিশ্বাস, রঞ্জন কর্মকার ওরফে কেডু এবং প্রবীর বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ তাদেরকে আশ্বাস দিয়েছে গোটা ঘটনাটি সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
এদিকে আহত প্রসেনজিৎ দাসের পিতা সহ তার এক বন্ধু অভিযোগ জানিয়েছেন কাঞ্চনমালা এলাকা দিয়ে যাওয়া গরু পাচারকারীদের কাছ থেকে প্রতিমাসে মোটা অংকের প্রণামী পেয়ে থাকে বুথ সভাপতি সহ ওই দুষ্কৃতিকারীরা। তারা আরো জানিয়েছেন সোমবার ভোর রাতের এই ঘটনায় গোলাকাটি মন্ডলের প্রাক্তন সভাপতি নিতাই শীলের মদত রয়েছে। সোমবার দুপুরে আহত প্রসেনজিৎ দাস কে দেখতে হাসপাতালে ছুটে আসে গোলাঘাটি মন্ডলের প্রাক্তন সভাপতি রামকৃষ্ণ সাহা সহ দলের অন্যান্য কার্যকর্তারা। দলের কার্যকরতারা সহ স্থানীয় এলাকাবাসীরা গোটা ঘটনাটি নিন্দা জানিয়েছে এবং অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। বর্তমানে প্রসেনজিৎ দাসের অবস্থা আশংকা জনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তার মাথায় এবং কোমরে প্রচন্ড আঘাত লেগেছে। এখন দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে আমতলী থানার পুলিশ কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে সবাই।
Comments
Post a Comment