পরকীয়ার অভিযোগে আটক মহিলা থানা থেকে গায়েব, চাঞ্চল্য #crime
কৈলাসহর প্রতিনিধির রিপোর্ট (CRIME)
ঘটনার বিবরনে প্রকাশ, প্রায় চার বছর পূর্বে, কৈলাসহর থানাধীন বীরচন্দ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাবু সিনহার দ্বিতীয় পুত্র বচন সিনহার সাথে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়, স্থানীয় মোহনপুর এলাকার অমর সিনহার কণিষ্ঠ কন্যা প্রতিমা সিনহা ওরফে রাখীর সাথে। বিয়ের পর সংসারের হাল ঠিকই চলছিল এবং তাদের ঘরে দুই কন্যা সন্তানের আগমন ঘটে। একজন তিন বছরের এবং দ্বিতীয়জন কোলের শিশু। স্বামী বচন সিনহা কর্মসূত্রে শিলংয়ে অবস্থান করছে। স্ত্রী প্রতিমা নিজেও স্বামীর সাথে শিলংয়ে থাকতো, যদিও পরবর্তীকালে ডলুগাঁও শ্বশুর বাড়িতে চলে আসে। বর্তমানে প্রতিমার বয়স পঁচিশ বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে স্থানীয় পেচারডহর এলাকার এক নাবালকের সাথে প্রতিমার পরিচয় ঘটে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। এই পরিচয় শেষে প্রেমের রূপ নেয় বলে দাবি করেছে প্রতিমা নিজেই।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায়, স্থানীয় পেচারডহর এলাকার ওই যুবক প্রতিমার ঘরে প্রবেশ করে। দরজা বন্ধ করে আলাপ করছিল খোশমেজাজেই, নজরে পড়ে যায় শাশুড়ি রসবতি সিনহার, শ্বশুর বাবু সিনহাও ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। অতঃপর দুজনকেই তালাবন্দি করে রেখে খবর দেওয়া হয় এলাকাবাসি এবং এলাকার প্রধান সহ মেম্বার ও মহিলা থানাকে। পরে পুলিশ এসে দুজনকেই উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। শনিবার দিন সন্ধ্যায় উক্ত নাবালককে থানা থেকে মুক্তি দেওয়া হলেও বসিয়ে রাখা হয় প্রতিমা সিনহাকে তার কোলের শিশু সহ। তাকেও তার পরিবারের হাতে হস্তান্তর করতে শ্বশুরবাড়ি সহ পিতৃ বাড়িতে খবর পাঠানো হয়। শ্বশুর বাড়ির লোকজন থানায় গেলেও পিতৃ বাড়ির কেউই আসেননি। অবশেষে প্রতিমাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন গ্রহণ করতে গররাজি হওয়ায় তাকে থানাতে রেখেই চলে আসেন শ্বশুর ও শাশুড়ি। ফলে থানার হেফাজতে রয়ে যায় শিশু সহ প্রতিমা।
শনিবারের রাত ফুরিয়ে রবিবার দুপুরে প্রতিমার বাবা অমর সিনহা ও মা পৌঁছান মহিলা থানায় মেয়েকে আনতে। কিন্তু থানার সাজানো গল্প শুনেই তাদের চোখ কপালে উঠে গেল। থানা থেকে নাকি বলা হয়েছে যে প্রতিমাকে তার শ্বশুরবাড়ির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, যদিও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে আনেননি বলে খবর। উপরন্তু থানার হেফাজত থেকে কোলের শিশু সহ গৃহবধূ নিখোঁজের ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে নিখোঁজ প্রতিমার পিতৃ বাড়ির লোকজনদেরকে থানা কর্তৃক ধমক সহ হুমকি প্রদর্শন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ মিলেছে।
বিভিন্ন মহলের অভিমত হল, কৈলাসহর মহিলা থানার পুলিশ থানাতে বসে বসেই দায়িত্ব পালন করতে চাইছে। ইচ্ছে করলে প্রতিমাকে শিশু সহ তার মোহনপুরস্থিত পিতৃ বাড়িতে পৌঁছে দিতে পারত। কিন্তু এই শীতের মধ্যে তা না করে শুক্রবার সারারাত এবং শনিবার সারাদিন বসিয়ে রাখল থানায়। অবশেষে শিশু সহ প্রতিমা নিখোঁজ। তারা অক্ষত অবস্থায় আছে তো? জবাব দিতে হবে পুলিশকেই।
Comments
Post a Comment