ঊনকোটি জেলায় শৃঙ্গেরি বালাজি মন্দির সহ একাধিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী

উত্তম সিনহা, কৈলাসহর: 

ত্রিপুরার দীর্ঘতম নদী বলে খ্যাত মনু নদীর উৎপত্তি লংতরাই পাহাড় থেকে। সেই ছোট বড় বিভিন্ন পাহাড়ি ঝড়নাগুলির সংমিশ্রনে ধলাই জেলা ধরে বইতে বইতে ঊনকোটি জেলা হয়ে চলে গেছে বাংলাদেশে। বহু ঘটনার সাক্ষী যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই মনু নদী। তার বানভাসি রুদ্র রূপে ত্রিপুরা সর্ববৃহৎ কৃষি অঞ্চল তথা সর্ব বৃহৎ হাউর অঞ্চল বলে খ্যাত সতের মিয়ার হাউর কয়েক দশক আগেও বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও হাউরের বাঁধ স্থাপিত হবার পর স্বস্তি ফিরলেও ২০১৮ সনের বন্যাতে ঊনকোটি জেলার কৈলাসহরের দিকে ওই বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় পুরো কৈলাসহর ডুবে গিয়েছিল। মনু নদীর এতকিছুর পরেও প্রাচীন কাল থেকে চলে আসা নদীর সাথে মানুষের আত্মিক সম্পর্কে এতটুকুও চির ধরেনি। সেই মনু নদীর চরেই মাথা উঁচিয়ে সংস্কৃতির ভিন্নতার মধ্যেও ভারতীয়ত্বের পরিচয় নিয়ে পূণ্যার্থীদেরকে আহ্বান করছে দক্ষিণ ভারতের আদলে নির্মিত অসাধারণ "শৃঙ্গেরি বালাজি মন্দির"।

আধ্যাত্মিকতার নতুন পীঠস্থান হিসেবে গড়ে উঠা এই শৃঙ্গেরি বালাজি মন্দির কিংবা লোকমুখে প্রচলিত তিরুপতি মন্দির স্থাপনের স্বপ্ন দেখেছিলেন তৎকালীন জেলা শাসক অভিষেক চন্দ্র। সঙ্গে একান্ত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন স্থানীয় এক নেতৃত্ব, যদিও আজ তিনি পর্দার আড়ালে বা অপাঙ্ক্তেয় বলে খবর। সোমবার ১১মার্চ ওই তিরুপতি মন্দিরের শুভ দ্বারোধঘাটন হল মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহার হাত ধরে।

যথা সময়েই উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী। উনাকে স্বাগতম জানান ফটিকরায় বিধানসভা কেন্দ্রর তরুণ বিধায়ক তথা ক্যাবিনেট মন্ত্রী সুধাংশু দাস, সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী টিংকু রায়, নাগাল্যান্ডের রাজ্যপাল লা গণেশন, প্রাক্তন জেলা শাসক অভিষেক চন্দ্র সহ তিরুপতি মন্দির ও শারদা পীঠের বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও এলাকাবাসিরা।

সকাল দশটায় মুখ্যমন্ত্রী সেখানে পৌঁছেই সোজা চলে যান মন্দিরের ঠাকুর ঘরে। পূজো শেষে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন সহ সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। মন্দির কর্তৃপক্ষ সহ এলাকাবাসিদেরকে মন্দির ও তীর্থভূমির রক্ষণাবেক্ষণ ও সহযোগিতার হাত প্রসারিত করার জন্য প্রথমে মন্ত্রী সুধাংশু দাস পরে মুখ্যমন্ত্রী আলোচনা করেন।









ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ছিন্নমস্তা কালী বাড়ি দর্শন সহ  জেলার চারটি স্কুলের নতুন ভবনের দ্বারোধঘাটন ও স্থানীয় সিঙ্গিরবিল এলাকায় অবস্থিত কণিকা মেমোরিয়াল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নব নির্মিত কোয়ার্টার কমপ্লেক্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও মুখ্যমন্ত্রী অংশগ্রহণ করেন।







Comments