পরকীয়ায় উড়ে গেল চার সন্তানের মা #crime
তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি
এ কেমন মা??? যে নাকি চার সন্তান কে ফেলে দিয়ে পরপুরুষের হাত ধরে অন্যত্র পারি দেয়!!!
ঘটনার বিবরণে জানা যায়,গত ১৩-১৪ বছর পূর্বে তেলিয়ামুড়া থানাধীন বাইশঘরিয়া এলাকার শঙ্কর দাস পেশায় দিনমজুর তিনি উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগরের লিপিকা মালাকারের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এত বছর সুখের সংসার এই চলছিল এবং তাদের সংসারে চার সন্তানের জন্ম হয় যাদের মধ্যে তিনজন মেয়ে এবং একজন ছেলে। কিন্তু বিগত কিছুদিন ধরে লিপিকা মালাকার প্রশনজিৎ দেবনাথ নামের এক পরপুরুষের সঙ্গে সর্বদা যোগাযোগ রাখতে শুরু করেন। কিন্তু বিগত ৭দিন পূর্বে স্বামী শঙ্কর দাস নিজ কাজে বেরিয়ে গেলে তিনি বাড়িতে আসার সময় লক্ষ করতে পারেন উনার স্ত্রী মোবাইলে রিচার্জ করে ওই পরপুরুষের সাথে কথা বলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তখন তিনি তা সহ্য করতে না পেরে স্ত্রীর হাত থেকে মোবাইল নিয়ে মোবাইলটি ভেঙে দেন। পরবর্তীতে উনার স্ত্রী ওইখানে থেকে চলে গেলে ওইদিন আর বাড়িতে ফিরেনি। পরবর্তীতে অসহায় স্বামী তার চার সন্তান কে নিয়ে স্ত্রীর খোজে তেলিয়ামুড়া থানা এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রধান,উপপ্রধান সহ স্ত্রীর বাবার বাড়িতে ঘটনাটি জানিয়েছেন। কিন্তু আজ প্রায় ৭ দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও উনি উনার চার সন্তান কে নিয়ে হন্যে হয়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন কিন্তু কেউ এই উনার স্ত্রীর খোজ দিতে পারছেন না।
পরবর্তীতে উনি আজ দিশেহারা হয়ে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হয়ে গোটা বিষয়টি সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের জানান। তিনি জানান যে উনার স্ত্রী চলে যাওয়ার পর তেলিয়ামুড়া থানার দ্বারস্থ হলেও থানা পুলিশ আজ ৭ দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত উনাকে কোনো ধরনের সহযোগিতা করতে পারেননি তেলিয়ামুড়া থানা। তিনি অসহায় হয়ে জানিয়েছেন যে,উনার স্ত্রী চলে যাওয়ার পর থেকে উনার ঘরে রান্না করে সন্তানদের মুখে ভাত তুলে দেওয়ার মতো কেউ নেই যার কারনে প্রায় ৭দিন যাবৎ অভুক্ত রয়েছেন উনি সহ উনারা ছোট ছোট চার সন্তান।
উনি আরো জানিয়েছেন যে উনার স্ত্রীর এই চলে যাওয়ার পেছনে প্রশনজিৎ দেবনাথ নামে এক যুবকের হাত রয়েছে বলে উনি সন্দেহ প্রকাশ করছেন। উনি প্রশাসনের কাছে আবেদন রাখেন প্রশাসন যেন উনার স্ত্রী কে খুজে পুনরায় উনার কাছে ফিরিয়ে দিয়ে উনাকে সহযোগিতা করেন। এখন দেখার বিষয় প্রশাসন কতটুকু দায়িত্ব সহকারে উনার স্ত্রী কে উনার কাছে ফিরিয়ে দিতে পারে কিনা।
Comments
Post a Comment